এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গফুর মোল্লাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রূপনগর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রূপনগরের নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার হেফাজত থেকে ১টি শর্টগান, ৮টি অক্ষত গুলি এবং ১টি ব্যবহৃত কার্তুজ জব্দ করা হয়। ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মিরপুরের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে মিরপুর-১০, পল্লবী প্রশিকার মোড় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালায়। গত ২০ জুলাই বিকাল ৪টা থেকে ৫টার দিকে মিরপুর-১০ সংলগ্ন প্রশিকারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপরে চালায়। ওই হামলায় শামীম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি গুলিবদ্ধ হয়ে মৃত্যবরণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের চাচাতো ভাই সম্রাট হাওলাদার রূপনগর থানায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় পাওয়া ফুটেজ পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গফুর মোল্লাকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি শনাক্ত করা হয়। পরে আজ বৃহস্পতিবার তার নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, গফুর মোল্লা তার নামে লাইসেন্সকৃত শটগানের জন্য ২০০১ সালে ৫০টি, ২০০৬ সালে ২৫টি এবং ২০১৩ সালে ২৫টি মোট ১০০টি গুলি ক্রয় করেন। রূপনগর থানা পুলিশ তার কাছে থেকে ১টি শর্টগান, ৮টি অক্ষত গুলি এবং ১টি ব্যবহৃত কার্তুজ উদ্ধার করে। বাকি ৯২টি গুলির বিষয়ে তিনি সন্তোষ জনক কোনো জবাব দিতে পারেননি এবং তিনি গুলি ব্যবহার বা হারানো সংক্রান্তে থানায় কোনো জিডিও করেনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ওই ৯২টি গুলি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যবহার করেছেন।
এ ছাড়াও পল্লবী থানাধীন মিরপুর অরজিনাল-১০ বাসস্ট্যান্ডের পপুলার ডায়াগণস্টিক সেন্টারের কাছে প্রধান সড়কের উপর গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপরে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালায়। এ হামলায় ইমন হোসেন আকাশ নিহত হয়। এ নিহতের ঘটনায় ভিকটিমের মা পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গফুর মোল্লা এই হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি।